দ্ইুদিন আগে ঘোষণা দিয়ে হত্যা করে এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ হত্যা মামলার আসামীরা। এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের বড়ভাই মো. শামিম আহমদ। এখন নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শামিম আহমদ বলেন, গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাত পৌণে আটটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসীচক্র সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস নিজগাও গ্রামের পাকা সড়কের উপরে প্রকাশ্যে তারছোট ভাই রাজধানী ঢাকার ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শাহীন আহমদকে (২৫) নির্মমভাবে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে মামলার মূল আসামীদের গ্রেফতারে অসহযোগিতা ও গড়িমসি করছে পুলিশ। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের মাসখানেক আগে থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে ভয় পেয়ে তিনি নিরাপত্তার চেয়ে ঢাকার বমশাল ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক জিডি করেন। ঈদুল ফিতরের জামাত থেকে খুনী সন্ত্রাসী চক্র তাদের উপর আক্রমণ করার জন্য আমাদের গতিবিধি লক্ষ করে আসছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা ঘর থেকে বের হননি। সন্ধ্যায় তাদের এলাকার ইউপি সদস্য নেছার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ মীমাংসার উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা নিজেদেরকে একটু নিরাপদ মনে করে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু বের হয়েই সড়কে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী চক্রের আক্রমণের শিকার হন তিনি, তার চাচা ও ছোটভাই শাহীন আহমদ। এই হামলায় তিনি ও তার চাচা আমির আলী বেঁচে গেলেও সংঘবব্ধ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান তার ছোটভাই শাহীন। তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডের তিনদিন পর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১০জনকে আসামী করে মামলা দেন। মামলার ১নং আসামী মরম আলী ও ৮নং আসামী র্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু হুমকিদাতা এবং হত্যাকান্ডের মূল আসামী শাহেদ ও আনোয়ারসহ সকল আসামীরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আসামীদের সঠিক অবস্থান পুলিশকে জানানোর পরও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুলিশ প্রশাসন, আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের কাছে তার ভাই হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের চাচা আমির আলী, ছোটবোন শামিমা আক্তার, ছোট বোনের স্বামী শাহিন মিয়া ও আত্মীয় রিপন আহমদ। এবিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনজুর রহমান জানান, মামলার প্রধান আসামীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশের তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।
Leave a Reply