ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা দেশটির ডানপন্থী সহিংস রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে (টিএলপি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কয়েকদিন আগে ইসরায়েল-বিরোধী সহিংস বিক্ষোভে টিএলপির সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। পাকিস্তানের কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের (টিএলপি) প্রায়ই দেশটিতে সহিংস বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে। রাস্তা অবরোধ করে টিএলপির করা আন্দোলনে পাকিস্তানে বিভিন্ন সময়ে সরকারের জন্য বড় ধরনের সমস্যাও তৈরি করেছিল।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সুন্নি ইসলামপন্থী এই দলটি ব্ল্যাসফেমি আন্দোলনকে প্রধান ইস্যু করে গড়ে ওঠে এবং ২০১৬ সালে রাজনৈতিক দলে রূপ নেয়।
দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ২০২১ সালে সহিংস বিক্ষোভের পর দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে এর ছয় মাস পর শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। সেই সময় দলটি ভবিষ্যতে সহিংসতা পরিহার করবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফেডারেল সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারের সুপারিশের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঞ্জাব সরকারের অনুরোধে দলটির সহিংস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে। এরপর দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন পেয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি দেশজুড়ে সহিংসতা উসকে দিয়েছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
Leave a Reply