সবসময় ডেস্ক ::: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভারত থেকে চোরাই পথে আনা মহিষের আক্রমণে নারী-পুরুষসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মহিষগুলো এখনো হাওর এলাকায় বিচরণ করায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পূর্ণানগর উত্তর কুটরঘাট, পুকাশ ও হাতিরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে উপজেলার পূর্ণানগর উত্তর কুটরঘাট গ্রামের হাসিব মিয়ার বাড়িতে হঠাৎ একটি মহিষ ঢুকে তার স্ত্রী সুরতুন এর ওপর হামলা করে। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মেয়ে জেসমিনও গুরুতর আহত হন। পরে প্রতিবেশী নয়ানগর গ্রামের ইমাম উদ্দিন তাদের দেখতে গেলে তিনিও মহিষের আক্রমণের শিকার হন। এভাবে টানা তিন ঘণ্টা ধরে চারটি গ্রামে মহিষের তাণ্ডবে ১২ জন আহত হন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে সুফিয়ান, শিব্বির, ইসরাক আলী , সুরতুন, জেসমিন, মুহিব, ইমরান প্রমুখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন নয়ানগর গ্রামের ইমাম উদ্দিন ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাসুক আহমদ।
মেম্বার মাসুক আহমদ জানান, সকাল থেকে মহিষগুলো পাগলের মতো দৌড়ে লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯ জনকে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানানো হলেও বিকেল পর্যন্ত মহিষগুলো আটক করা যায়নি।
তিনি আরও জানান, বিছনাকান্দি এলাকার শাহাব উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার কিছু মহিষ রাস্তা থেকে ছিনতাই হয়েছে। তবে স্থানীয়দের ধারণা, এসব মহিষ অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা চোরাই মহিষ, যেগুলো পালিয়ে এসে মানুষের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আহতের খবর আমরা পেয়েছি। বিষয়টি বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply