ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে মা-মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশও হতবাক। মরদেহের সুরতহাল ও আঘাতের ধরন দেখে তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, ঘাতক হয় কোনো ‘প্রশিক্ষিত কিলার’, নয়তো অতিরিক্ত ক্ষোভে উন্মত্ত কোনো সাইকোপ্যাথ।
প্রধান সন্দেহভাজন গৃহকর্মী ‘আয়েশা’র প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিযুক্ত তরুণীর প্রকৃত নাম ও তার স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তবে গ্রেপ্তারের পরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদেই এই নৃশংস জোড়া হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যেতে পারে।
আয়েশা নামের এক তরুণী সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে কাজে এসেছিলেন বোরকা পরে, দেড় ঘণ্টা বাদে বেরিয়ে যান স্কুলড্রেস পরে—কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে। মাঝের সময়টিতেই ওই বাসায় খুন হন মা-মেয়ে। পরে খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ঘটে যাওয়া এই ঘটনার নেপথ্যে প্রকৃত কারণ কী, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে পুলিশ বলছে, সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন নৃশংসতা প্রদর্শন প্রায় অসম্ভব।
Leave a Reply