সবসময় ডেস্ক:
বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক ও পলাতক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার-প্রকাশ করলে তৎিক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেবেন অন্তবর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশের আইন অনুসারে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যেকোনও ব্যক্তি বা সংগঠন—যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।’
‘সরকার মনে করেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং যেকোনও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার, পুনঃপ্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি কেবল জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কাজ করে। এ ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অমান্যকারী যেকোনও সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে আইনি জবাবদিহির আওতায় পড়বে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আউটলেটগুলোতে ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।’
Leave a Reply