সবসময় ডেস্ক :: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দুই গ্রুপের মধ্যে চলছে প্রচন্ড গোলাগুলি। গত রাত সাড়ে ১২ টা থেকে ওপার থেকে মর্টার সেল ও ভারী অস্ত্রের গুলি শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি তমরু-ঘুমধুম সীমান্তে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মিয়ানমারের দুই পক্ষের মধ্যে মর্টার সেল ও গুলির মুহুর্মুহু শব্দে বাসা থেকে বের হচ্ছেনা এলাকাবাসী।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তমরু-ঘুমধুম বালুখালী এলাকায় সরেজমিনে উপস্থিত থেকে শোনা যাচ্ছে মর্টার সেল ও গুলির শব্দ। ঘুমধুম তমরু ও বালুখালী এলাকায় সকাল থেকে ঘন কুয়াশার মধ্যে গোলাগুলির শব্দে সাধারণ মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে।
এই মুহূর্তে মিয়ানমার- বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বালুখালী এলাকায় অবস্থান করে হাজার হাজার গোলার শব্দ শুনা যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন রাইফেলের গুলি ও মর্টার সেলের আওয়াজে শিশুরা বেশি আতঙ্কগ্রস্ত।
স্থানীয় বাসিন্দা আলীম উদ্দিন নামে একজন বলেন রাত থেকে শুরু হওয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে। রাতভর সীমান্তের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রাখাইন রাজ্যে রাত থেকেই ভারী অস্ত্র ও গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ওপার থেকে যেসব গুলির শব্দ পাচ্ছি সেটি তিন কিলোমিটার পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারবে।
রাখাইনের যে অংশে গোলাগুলি চলছে সেখান থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাত্র দেড় কিলোমিটার। অর্থাৎ আমাদের এখানে ওপার থেকে গোলা ছুঁড়লে পরিনতি হবে ভয়াবহ। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের ভিতরে মর্টার সেল ও ভারী অস্ত্রের গুলি আওয়াজে এখানকার আশপাশে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা প্রকম্পিত উঠছে।
এর আগে শনিবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি তমব্রু সীমান্তে একটি সিএনজি গাড়ীতে গুলি পড়ে গ্লাস ভেঙে গেছে। তবে গুলির আঘাতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার বেলা ২টা ৪০মিনিটে তুমব্রু এলাকার উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সিএনজি চালক মো. আবু তাহের জানান, সীমান্তের ওপারে প্রচন্ড গোলাগুলি আওয়াজ শোনা যায়। কিছু বুঝার আগে সিএনজিতে একটি গুলি এসে পড়ে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও গুলি লেগে সিএনজির সামনের বড় লুকিং গ্লাস ভেঙে গেছে।
সবসময়.কম/ডিএস/স.আ-০৩
Leave a Reply