নিজস্ব প্রতিবেদক :: সরবরাহ কমে যাওয়ায় এক রাতের ব্যবধানে সিলেটের বাজারে আবারো বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে পণ্যটি খুচরা পর্যায়ে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে দেশি পেঁয়াজে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। দেশী পেঁয়াজের সরবরাহও প্রায় শেষ। চাহিদার তুলনায় জোগানে টান পড়ায় আবারও বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রকারভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। যা গতকাল ৯৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এতে করে কেজি প্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা।
অন্যান্য বছর মৌসুমের এ সময়ে পেঁয়াজের দর থাকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু এবার ভরা মৌসুমেও অস্বাভাবিক ওঠানামা করছে মসলাজাতীয় পণ্যটির দর। গত বুধবার রাতেও সিলেটের খুচরা বাজারে ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হয় পেঁয়াজ। তবে শুক্রবার সকালে তা একলাফে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় পৌঁছে।
সিলেটের বন্দরবাজার এলাকায় বাজার করতে আসা এক ক্রেতা জানান, আমি দুইদিন আগে ৯৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি পেঁয়াজের দাম বেশি। দুইদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। আমরা কিভাবে চলব ভেবে পাচ্ছি না। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়লেও আমাদের ইনকাম বাড়ছে না।
আরেক ক্রেতা বলেন, আমি দুই দিন আগে ৯৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ বাজার করতে আসলাম, এসে দেখি পেঁয়াজের দাম বেশি। আমি এক কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ১১৫ টাকা দিয়ে।
আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি ছাড়া কোনো পেঁয়াজ নেই। পেঁয়াজের সরবরাহও শেষদিকে। এ কারণে দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ৪০-৪৫ টাকায় নেমে যাবে দর। দামের লাগাম টানতে চাইলে সরকারের উচিত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া। কারণ, প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় ভারত থেকে দু-তিন দিনেই পেঁয়াজ আনা সম্ভব। ভারতের পেঁয়াজ আমদানি শুরু করলে এক-দেড় মাস পর দাম কমতে পারে। তবে রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তারা।
সবসময়.কম/ডিএস/এসভি-০১
Leave a Reply