রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে নদী ভাঙন ব্যবস্থাপনায় লোকায়ত পদ্ধতি ও কমিউনিটির অংশগ্রহণকে স্থানীয় সরকারের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ আরডিআরএস বাংলাদেশ ও অক্সফ্যাম বাংলাদেশের আয়োজনে ও সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সির অর্থায়নে ট্রোসা -২ প্রকল্পের আওতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।দিনব্যাপী চলা এ সংলাপে অংশ নেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী কমিউনিটির সদস্যরা।
সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্ব কুমার হালদার, বিশেষ অতিথি রৌমারী থানার ওসি সেলিম মালিক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মহিম আল মোস্তাকুর, সমাজসেবা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী ও বন্দবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল, রৌমারী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা, নদী সংগঠক মহীউদ্দিন মহির, প্রভাষক আক্তারুজ্জামান, কমিউনিটির বান্ডাল সংগঠক আমিনুর রহমান, কমিউনিটি নেতৃত্ব সিরাজুল ইসলাম ও আনুজা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কমিউনিটির নেতৃত্বে কম খরচে বাঁশের বান্ডাল নির্মাণ করে নদী ভাঙন মোকাবিলার যে লোকায়ত পদ্ধতি রৌমারীর বকবান্ধা গ্রামে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ ছাড়া এ ধরনের উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখা কঠিন। বক্তারা আরও বলেন, নদী ভাঙন মোকাবিলায় সরকারিভাবে লোকায়ত পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হলে এটি টেকসই সমাধান হিসেবে সারাদেশে উদাহরণ তৈরি করবে।
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ জানান, বান্ডাল পদ্ধতিতে নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ ও ভাঙন কমানো সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতির প্রসার ঘটাতে স্থানীয় সরকারের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও।
ট্রোসা-২ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা খায়রন্নেসা সরকার সংলাপের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাঁশের বান্ডাল একটি পরিবেশবান্ধব, কম খরচের লোকায়ত পদ্ধতি। স্থানীয় সরকারের পরিকল্পনায় এই পদ্ধতিকে অন্তর্ভুক্ত করলে ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করলে নদী ভাঙন মোকাবিলায় কমিউনিটির সক্ষমতা বাড়বে এবং জীবিকায়নে স্থিতিশীলতা আসবে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, বিগত দিনে বান্ডাল স্থাপনে কমিউনিটিকে সহায়তা দিয়েছি, ভবিষ্যতেও কোনো কমিউনিটি এমন উদ্যোগ নিলে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
সংলাপে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম আরডিআরএসের প্রতিনিধি রিপন কুমার ও আব্দুর রহিম।
Leave a Reply