রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
জমি দখল করতে ভাড়াটে হিসেবে যাওয়া দুই যুবদল নেতাকে বহিস্কার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদল। রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহজালাল সরকার ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগার নামের দুই নেতা বহিস্কার হয়েছে। মঙ্গলবার ( ২১ অক্টোবর) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ওই দুই যুবদল নেতাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অব্যাহিত প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলেরসভাপতি রায়হান কবির বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীর মাধ্যমে যেসব অভিযোগ পেয়েছি প্রাথমিক তদন্তে তার প্রমাণ মেলেছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিও বিষয়টি জানেন। এ ঘটনার দায় কখনও দল নেবে না। গত বছরের ৫ আগস্টের পর যুবদলের সকল ইউনিটকে বলেছি, ফ্যাসিস্টরা যা করে গেছে, বিএনপি সেটি বিশ্বাস করে না। কারো জমি দখল করা আমাদের দায়িত্ব না। এর কোর্ট আছে, মামলা হবে পুলিশ আছে। এটাতো আমাদের কাজ না। কোনো ছেলে চাঁদাবাজি বা কোনো বাজে কাজে গেলে এটা আমরা কোনোভাবে বরদাস্ত করবো না।
উল্লেখ্য, যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী গ্রামের মধ্যপাড়া শাহিদার মোড় এলাকায় ৩০ বছর আগে আব্দুল কাদের নামের এক ব্যক্তি আট শতক জমি বিক্রি করেন আয়নাল হকের কাছে। পরে আয়নাল হক তাঁর ছেলে চান মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু চান মিয়া ৮ শতক জমির বদলে ১৬ শতক জমি দখল করার জন্য যাদুররচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগারসহ ১০-১২ জনকে ভাড়া করেন চান মিয়া। চলতি বছরের ২০অক্টোবর (সোমবার) শাহজালাল সরকার ও নাজমুল হোসেন টাইগারের নেতৃতে আরও ১০-১২ জনসহ মোটরসাইকেলে গিয়ে চান মিয়ার পক্ষে আব্দুল কাদেরের জমিতে জোড় করে টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় গ্রামবাসীদের দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখান । একপর্যায়ে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হলে শাহজালাল সরকার ও নাজমুল হোসেন টাইগারসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও শাহজালালের মটরসাইকেলটি আটক করেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। শাহাজালালের আটককৃত মটর সাইকেলটি এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানা যায়।
Leave a Reply