সবসময় ডেস্ক ::: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নদী নালা হাওর-বাওর ও বিল খাবলে খাচ্ছে মনির সিন্ডিকেট। উপজেলাধীন বিভিন্ন নদী-নালা থেকে নদীবন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) ইজারা নামে সরকারি বালুসম্পদ তারা হরিলুট করছে। দৈনিক হাজার হাজার কোটি টাকার বালু লুট করলেও দেখার কেউ নেই। এতে করে ধংস হচ্ছে ইসিএ এলাকাসহ সর্বত্র পরিবেশ ও প্রতিবেশ। আর্থিক ও শারীরিক জুলুৃম করা হচ্ছে বালুপাথর পরিবহন শ্রমিকদের উপর। লুটেরা চক্র ফাঁকি দিচ্ছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।
সার্বিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় উপজেলাবাসী নদীবন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) নামে কথিত ইজারা বাতিল ও লুটেরাচক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জনিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে দেওয়া এক আবেদনে এ দাবি জানানো হয়।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়, সিলেট জেলার গেয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইন গ্রামর মনির উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল আওয়ামী চাঁদাবাজ ও লাঠিয়াল বাহিনী উপজেলার ডাউকি নদী, গোয়াইন নদী ও চেঙ্গেরখাল নদীসহ বিভিন্ন নদীর তীর এবং ইজারা বহির্ভু এলাকায় ক্যাম্প ও ছাউনী বসিয়ে জোরপূর্বক অধিকহারে টোল ও চাঁদা আদায় করে চলেছে।
মনির উদ্দিন ও তার অনুগত লাঠিয়াল বাহিনী কথিত নদীবন্দর (বিআইডব্লিউটিএ) ইজারাপত্রের ৩,৪ ও ৫ নং কলামে বর্ণিত শর্তাদি লংঘন করে ইজারা বহির্ভুত ও নিষিদ্ধ ইসিএ (বিআইডব্লিউটিএ) এলাকাধীন গোয়াইন নদীর অববাহিকা, উপজেলার বাউরবাগ হাওর, বাউরবাগ মৌজা, নন্দাইর হাওর ও তিলকুল্লী হাওর এবং ইজারা বহির্ভুত অন্য নদীর পীরের বাজার এলাকায় ক্যাম্প ও ছাউনী বসিয়ে টোল নামে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি করছে।
তারা নিয়মানুযায়ী প্রতি ঘনফুট বালু থেকে নির্ধারিত ২৩ পয়সার স্থলে জোরপূর্বক ২.৫০ টাকা করে টোল নামে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এতে করে সাধারণ শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিসহ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘বালুদস্যু’ মনিরের লাঠিয়াল বাহিনী নিজেদের অনুগত হাজার হাজার শ্রমিক নিয়োজিত করে ইজারা বহির্ভুত নদী ও তীর এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করিয়ে বিক্রয় ও বিপনন করছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকিসহ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংস হচ্ছে।
আবেদনে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষাসহ লুটপাট, চাঁদাবাজি ও হয়রানী বন্ধে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজলাধীন নদীগুলোর কথিত বিআইডব্লিউটিএ ইজারা বাতিল সহ লুটেরাদের দমনে আইনানুগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগের অনুলিপি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় সচিব ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিবসহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল মহলেও প্রেরন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মনির উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ দেখায়। পরে হোয়াটসঅ্যাপ মোবাইল নাম্বারে কল দিলে তিনি প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply