০২০ সালে অভিনেতা সালমান শাহের ‘রহস্যজনক মৃত্যু’ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এক মামলার তদন্তে ইতি টানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সম্প্রতি সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় আবার হত্যা মামলা করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সেই মামলাটি তদন্তের জন্য রমনা থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে। আসামী করা হয়েছে খলনায়ক ডনকে।
ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন। এর ফলে সালমানের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালে পিবিআই বলেছিল, হত্যা নয়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই সময় পিবিআইয়ের এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর সন্দেহভাজন আসামি খল-অভিনেতা ডন বলেছিলেন, ‘আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে বন্ধুকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্ত হলাম।’
ডন আরও বলেন, ২৪ বছর বুকের ভেতর বন্ধু হত্যার মিথ্যা অপবাদ আমাকে নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তার পূরণ কিছুতেই হবে না। আমি ধৈর্য ধরে ছিলাম। সত্য কোনো দিন মিথ্যা হয় না। মিথ্যাকেও কোনো দিন জোর করে সত্যি বানানো যায় না বলে জানান এ খল-অভিনেতা।
ওই সময় এ অভিনেতা আরও বলেন, সালমান শাহ এ দেশের মানুষের কাছে একটি আবেগের নাম। মৃত্যুর এতগুলো বছর পেরিয়েও সে সবার কাছে জীবন্ত কিংবদন্তি। ডন বলেন, আমি বহুবার ভেবেছি, যদি এমন হতো মীরাকল ঘটে গেছে একটা— সালমান ফিরে এসেছে। আবার দুজন সিনেমা করতাম। এ দেশের মানুষ জানত সালমান আমাকে কতটা ভালোবাসে। সালমানের মৃত্যৃর পর আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেটি কেবল আমিই জানি। এটা আর কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অকালমৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্যের জট এবার হত্যা মামলার তদন্তের মাধ্যমে খুলবে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে আছে পুরো দেশবাসী। এর আগে সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করেনি পিবিআই— দাবি করে ২০২১ সালে নারাজি দিয়েছিলেন তার মা নীলা চৌধুরী।
Leave a Reply