হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের শীতপ্রধান জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল-সন্ধ্যার বাতাসে এখনই অনুভূত হচ্ছে হালকা শীতের পরশ। তবে দিনভর সূর্যের তেজে তাপমাত্রা থাকছে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রির ঘরে। ফলে জেলার জনজীবনে তৈরি হয়েছে শীত ও গরমের মিশ্র আবহ।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এর আগের দিন শনিবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ একদিনে প্রায় অর্ধ ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা।
এদিকে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। সকালবেলা স্কুলগামী শিশু, ভোরের শ্রমজীবী মানুষ আর চা-বাগানের শ্রমিকদের গায়ে এখন দেখা যাচ্ছে হালকা চাদর বা গামছা।
কথা হয় চা শ্রমিক ইমন তরফদারের সঙ্গে, তিনি বলেন, ভোরে কাজ শুরু করতে গেলে এখন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। হাতে, মুখে কুয়াশার পানি পড়ে শীত ধরছে।
একইভাবে ভ্যানচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলে হাত কাঁপে। রোদ উঠলে আবার গরম লাগে। এই সময়টা কেমন অদ্ভুত লাগে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে তা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এরপর ডিসেম্বর মাসজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের আগমন আগেভাগেই টের পাওয়া যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হতে পারে।
Leave a Reply