সব সময় রিপোর্ট ::::চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা কমেছে। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন ও বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় দাম কমতে শুরু করেছে। শিগগিরই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে আশা ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃহস্পতি ও শনিবার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২৫ টাকায়, আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সে পেঁয়াজ খানতুগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর বাজারে আসা নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও কমবে।
আজ খাতুনগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায় আড়তগুলোতে দেশি পুরনো পেঁয়াজ দেখা গেছে। সেই সঙ্গে কিছু আড়তে নতুন পেঁয়াজ দেখা গেছে। গতকাল শনিবারের তুলনায় রোববার বাজারে ক্রেতা ছিল বেশি।
পেঁয়াজ আমদানির তথ্য পেয়েই পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রভাব পড়তে শুরু করে। খাতুনগঞ্জের এক আড়তদার জানান, আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমেছে। আজ প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। বৃহস্পতি ও শনিবার পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। বাজারে নতুন পেঁয়াজও এসেছে। সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। নতুন পেঁয়াজ আমদানি ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে সে খবরে দাম কমেছে। সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা এতদিন বাজারে দেশীয় পুরনো পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কম ছিল। গেল বৃহস্পতি ও শনিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। কিছু কিছু আড়তে মেহেরপুরের আগাম ফলনের কিছু পেঁয়াজের সরবরাহ দেখা গেছে। এগুলো এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানির খবরেই পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও কমবে।
ভোক্তারা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেট করেই ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। দেশের বাজারে আমদানির পেঁয়াজ আসেনি। তার আগেই দাম কেজিপ্রতি কমে গেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সরকারের এই বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ।
চলতি বছর বাজারে প্রায় পুরো চাহিদাই মিটিয়েছে দেশি পেঁয়াজ। তবে এবার মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এরপরই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
Leave a Reply