মো : পারভেজ আহমদ
প্রকাশ্যে হরিলুটের পর চাইলেও কী আগের রূপে ফেরানো সম্ভব ?ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর? পাথর পুনঃস্থাপনে যেমন ধীরগতি রয়েছে, তেমনি কতটা টেকসই হবে তা নিয়েও আছে সংশয়। পরিবেশকর্মীরা মনে করেন, কৃত্রিম উপায়ে সাদা পাথর কে আগের রূপে ফেরানো সম্ভব নয়। কেবল প্রকৃতিই পারে সাদা পাথরকে স্বরূপে ফেরাতে। আর সেজন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে কোনো এক পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে আসা পাথরের।
সিলেটের সাদা পাথরপাথর, বিছনাকান্দি ও জাফলং এর ধারে ঝোঁপঝাড়ে পাথর আর পাথর। কোথাও মাটি খুঁড়ে, কোথাও পাতা সরিয়ে মিলছে লুটপাটের পর লুকিয়ে রাখা মূল্যবান এই খনিজ সম্পদ। এত এত পাথর কীভাবে এলো লোকালয়ে, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয়রা ও প্রশাসন । অবশ্য কারও কারও দাবি, রাতের আঁধারে রাখা হয় এসব পাথর।
লুটপাটের পাথরের খোঁজে চলছে প্রশাসনের টানা অভিযান। উদ্ধারের পর ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর ফেলা হচ্ছে আগের জায়গায়। তবে সেই গতিও অতি মন্থর। দেড় কোটি ঘনফুটের বেশি পাথর লুটের বিপরীতে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত সন্ধান মিলেছে প্রায় ৪ লাখ ঘনফুট। আর পুনঃস্থাপন এখনো হাজার ঘনফুটের ঘরে।
কিন্তু পাথর পুনঃস্থাপনের এ উদ্যোগ টেকসই হবে কতটা? পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এ উপায়ে চাইলেও ভোলাগঞ্জকে আগের রূপে ফেরানো সম্ভব নয়। কেবল প্রকৃতিই পারে এর সমাধান দিতে। অপেক্ষায় থাকতে হবে আরেকটি পাহাড়ি পাথরের ঢলের জন্য। কিন্তু এটিও আসে না প্রতি বছর।
তিনি আরও বলেন, ‘পাথরগুলো কতদিন এখানে রাখা যাবে, সেটা একটা ব্যাপার। আর সেগুলো রাখা গেলেও মানুষের জন্য আরও বিপদজনক হয় কিনা, সেটাও একটা বিষয়। কারণ এই পাথরগুলো মাটি বা বালির সঙ্গে মিশবে না। কারণ আপানি এগুলো ফেলে দিলেন, কিন্তু সেগুলো তো নিজের মতো করে জায়গা নিতে পারবে না। এটা সময় লাগবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক কাসমির রেজা বলেন, প্রতি বছর ঢলে পাথর আসে না। পাথর আসে কোনো কোনো বছর। যেমন ১৯৯০ সালে ঢলে খুব বেশি পাথর এখানে এসেছিল। এখন আমরা অপেক্ষায় থাকবো, কিন্তু সেই অপেক্ষা আসলেই সুফল বয়ে আনবে কিনা না জানা নাই।
Leave a Reply