সবসময় ডেস্ক :::নির্বাচনী সভা সমাবেশের নিরাপত্তায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে স্বেচ্ছাসেবক আহ্বান করে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর একটি বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে এসএমপি।
শনিবার এসএমপির মিডিয়া শাখা থেকে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, মিডিয়ায় কমিশনারের বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে সিলেট-১ ও সিলেট-৩ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমান পুলিশ ফোর্স আছে তা দিয়ে সবার সিকিউরিটি এনসিওর (নিরাপত্তা নিশ্চিত) করতে পারবো না। সেটা করতে গেলে আপনাদের পার্টিসিপেশন (অংশগ্রহণ) লাগবে। এ জন্য আমরা চাই, আপনারা স্বতস্ফূর্তভাবে আপনাদের দল থেকে কিছু ভলান্টিয়ারের (স্বেচ্ছাসেবক) নাম দিবেন। তাদের আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্রিফিং করবো। নিরাপত্তাসংক্রান্ত ট্রেনিং দিবো। যাতে আমাদের সকল প্রোগ্রাম সুন্দরমতো হয়।
স্বেচ্ছাসবদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণ হিসেবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের পুলিশের সংখ্যার সীমাবদ্ধতা আছে। উৎসবমুখর পরিবেশে যদি সভা-সমাবেশ হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কোথাও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা পাওয়া যাচ্ছে। তাই সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও প্রয়োজন।
ওই সভায় তিনি বলেন, নির্বাচনে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তবে দ্বিতীয় স্তরে দায়িত্ব পালন করবে প্রার্থীদের প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা।
এ ব্যাপারে শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নির্বাচনের প্রচার কালীন সময়ে পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাদের নিজ দলীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করতে অনুরোধ করেন।
‘কিন্তু কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পুলিশ কমিশনাররে প্রকৃত বক্তব্যকে এড়িয়ে নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছাসেবক চান পুলিশ কমিশনার মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সত্য নয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, নির্বাচনের সময় আইনানুগভাবে রাজনৈতিক দলের স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের কোন সুযোগ নেই’।
Leave a Reply