সবসময় ডেস্ক :: নতুন কর আইন ও অনলাইন রিটার্ন দাখিল সম্পর্কে করদাতাদের সতেচনতা বৃদ্ধিতে স্ম্যাক আইটি লিমিটেড, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে চেম্বার কনফারেন্স হলে “হাইলাইট্স অফ পিআইটি এন্ড ট্যাক্স রিটার্ন থ্রুু ট্যাক্সডু” বিষয়ক কর্মশালা হয়েছে। সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কর অঞ্চল-সিলেট এর কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কর কমিশনার বলেন, সিলেটের করদাতারা কর প্রদানে অত্যন্ত আন্তরিক। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সিলেট অঞ্চলের করদাতারা ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন, যেখানে আমাদের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০০ কোটি টাকা। কর কমিশনার আরো বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৬০ কোটি টাকা এবং আমরা আশাবাদী এ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে। তিনি বলেন, করদাতাদের সুবিধার্থে বর্তমানে অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া চালু হয়েছে এবং অনলাইনেই প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩০ নভেম্বরের পর বৃদ্ধির বিষয়টি কর কমিশনারের এখতিয়ারাধীন নয়, তবে এ ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, ব্যবসায়ী ও করদাতারা কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখেন, কিন্তু বাংলাদেশে করদাতারা যথাযথ মূল্যায়ন পান না। কর আহরণ বৃদ্ধির জন্য উন্নত দেশের সিস্টেমকে অনুসরণ করা হচ্ছে কিন্তু উন্নত দেশগুলোর মত করদাতাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে না। কর বৃদ্ধির সাথে সাথে করদাতাদের জন্য সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করা আবশ্যক। তিনি কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিয়মিত করদাতাদের উপর বোঝা না বাড়িয়ে করের আওতা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।
কর্মশালার বিষয়বস্তুর উপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন স্ম্যাক আইটি লিমিটেড এর ডাইরেক্টর ¯েœহাশীষ বড়–য়া, এফসিএ এবং এসোসিয়েট ডাইরেক্টর মাকসুদ আলম। তারা নতুন কর আইন ও ‘ট্যাক্স ডু’ এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। কর্মশালায় গেস্ট স্পীকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আলীম পাঠান, সিলেট চেম্বারের ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর সাব কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক জিয়াউল হক, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক মো. জহির হোসেন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এসোসিয়েট প্রফেসর মো. মাসুদ রানা, সিলেট চেম্বারের সদস্য মো. আবুল কালাম, এস. এম. শায়েস্তা তালুকদার, শাফি মো. নাহিয়ান, দেবাশীষ চক্রবর্তী, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের কর্মকর্তা মিনতি দেবী।
Leave a Reply