নিজস্ব প্রতিবেদক :: পাঁচ দিন পর রোদের দেখা মিলেছে সিলেটে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মেঘ কেটে সূর্য উঁকি দেয়। ১৫ জুন থেকে সিলেটে অতিবৃষ্টি শুরু হলে প্লাবিত হতে থাকে সিলেটের অন্তত ১০টি উপজেলা এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৩টি ওয়ার্ড। বন্যাকবলিত হয়ে পড়েন ৮ লাখের বেশি মানুষ। বাড়িঘর তলিয়ে সিলেট নগরীর অন্তত ২০ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে।
গত ১৫ জুন রাত থেকে শুরু হয় সিলেট জুড়ে অতিবৃষ্টি। পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল যোগ হলে বন্যা দেখা দেয়। পানিবন্দী মানুষের ঈদ কাটে বিষাদে। আকাশ থেকে একটানা বৃষ্টি ঝরছিলো ঈদের দিনও। অনেকে পানি মাড়িয়ে ঈদের নামাজ পড়লেও বেশিরভাগ মানুষই ঈদের নামাজে যোগ দিতে পারেন নি। এ কয়দিন প্রতিদিনই ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মেঘ কেটে রোদেলা আকাশের জন্য দিন গুনছিলেন পানিবন্দী মানুষেরা। গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি কিছুটা কমায় বন্যাকবলিতরা আশাবাদী হয়ে ওঠেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করে। মেঘ কেটে সূর্য উঁকি দেয়।
মিরাবাজার কিশোরী মোহন স্কুল আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠা যতরপুরের সালেহা জানান, অতিবৃদ্ধ ও আর বানের পানির মাঝেই কেটেছে ঈদ। আল্লাহর কাছে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছি। আকাশে রোদের দেখা মিলেছে, আশা করি আর বৃষ্টি হবে না। পানি কমলে নিজের ঘরে ফিরে যাবো।
ফাজিলচিশত এলাকার আবু তাহের জানান, বন্যায় নিচু এলাকার মানুষ বেশ ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকেই পানিবন্দী অবস্থায় ঈদ করেছেন। সকাল থেকে মেঘ কেটে রোদ ঝলমল করছে। ৫দিন পর থামলো টানা বৃষ্টি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসাইন বলেন, আকাশে কিছুটা মেঘ আছে। এরই মধ্যে সূর্যেরও দেখা মিলেছে।
Leave a Reply