নিজস্ব প্রতিবেদক :: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সিলেট-সুনামগঞ্জকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে উজান থেকে নেমে আসা পানির পরিমাণ নির্ধারণের মাধ্যমে রিজার্ভার করা হবে। যাতে উজান থেকে আসা পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারা এবং সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খনন করা হবে। এতে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জ বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।
শুক্রবার সকালে সিলেট নগরীর ক্বীনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদীর পানি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যার বিষয়য়ে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বন্যা দূর্গতদের জন্য যা করা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।
এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি : সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভেসে ওঠতে শুরু করেছে সিলেট নগরীর প্লাবিত রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সকল নদীর পানি কমছে। পানি কমলেও ৬ পয়েন্টে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে মাত্র ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সরকারি হিসেব মতে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর ২৩টি ওয়ার্ডে বন্যাকবলিত হয়েছেন সাড়ে ৯ লাখের মতো মানুষ। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। পানি কমতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রিতরা।
Leave a Reply